মায়ার আপিলের রায় সোমবার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার করা আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে আজ রোববার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

তবে আজ পুনঃশুনানির ওপর আসামিপক্ষ আবার শুনানি করে। আগামীকাল সোমবার দুদকের পক্ষের আইনজীবীর শুনানির পর রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির পর আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নুরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জরিমানাও করেন। আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ।

একই সঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। পরে রিভিউ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর পর আপিল বিভাগের আদেশ অনুসারে হাইকোর্টের এ বেঞ্চে পুনরায় শুনানি হয়।