যশোরে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ

যশোরে আখলিমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি খাজুরার এনায়েতপুর গ্রামের পিকুল হোসেনের স্ত্রী ও শহরতলী বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের ইসারত মোল্যার মেয়ে।

পিতৃ পক্ষের অভিযোগ, যৌতুকের টাকার জন্যে স্বামীর বাড়ির পরিবার তাকে জোর পূর্বক মুখে কীটনাশক দিয়ে হত্যা করেছে। তবে, স্বামীর পরিবারের দাবি সাংসারিক বিরোধের জেরধরে আখলিমা আত্মহত্যা করেছে।

মৃতের বড় ভাই রেজাউল ইসলামের অভিযোগ, ১০ বছর আগে খাজুরার এনায়েতপুর গ্রামের পিকুল হোসেনের সাথে বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের ইসারত মোল্যার মেয়ে আখলিমার বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে প্রায় যৌতুকের টাকার জন্যে আখলিমাকে নির্যাতন করতো স্বামী পিকুল হোসেন ও তার পরিবার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে ইসারত মোল্যা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু পিকুল মাদক সেবনকারী হওয়াতে যৌতুকের সব টাকা নষ্ট করেছেন। সম্প্রতি পিকুল ব্যবসার কথা বলে বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রী আখলিমাকে এক লাখ টাকা আনতে বলেন। স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে অস্বীকার করলে ১২ অক্টোবর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায় রাতের কোনো এক সময় পিকুল ও তার পরিবার আখলিমাকে মারপিট করে মুখে কীটনাশক ডেলে দেয়। ১৩ অক্টোবক পিকুল গ্রামে প্রচার করে তার স্ত্রী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে স্থানীয়রা আখলিমাকে সকাল সাড়ে ১০ টায় উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হাসান তুহিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতের বড় ভাই রেজাউল ইসলামের দাবি, তার ছোট বোন কীটনাশক পানকরে আত্মহত্যা করেনি। স্বামী পিকুল ও তার পরিবার যৌতুকের টাকার জন্যে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। হত্যার বিচার চেয়ে তিনি আইনি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হাসান তুহিন জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনবার অনেক আগেই আখলিমার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানানো সম্ভাব হবে।