নির্বাচন নিয়ে কর্নেল অলি’র শঙ্কা

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির)-এর সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তিনি বলেন, দেশে আদৌ কোন নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে আমি এখনো নিশ্চিত নই। নির্বাচন হলেও জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন কর্নেল অলি।

শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে একটি ক্রান্তিকাল চলছে। সমগ্র দেশে উৎকণ্ঠা, আতংক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেউ জানে না আগামী দিন কি হতে যাচ্ছে। জাতির সামনে, এখন যারা সরকারে আছে এবং আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো যদি আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মোকাবেলা না করি তাহলে আমি তৃতীয়বার বলছি রকতাত এড়ানো যাবে না। কেউ যদি মনে করে ২০১৪ সাল পুনরায় বাংলাদেশে পুনরায় ফিরে আসবে তাহলে সে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সেটা আর কখনোই ফিরে আসবে না। সবাই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকবে আগামী নির্বাচনে। জোট-মহাজোট যারাই যেখানে আছে কেউ কাউকে ছাড় দিবে না।

অলি আহমদ বলেন, সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সুষ্ঠু অবাধ ও নিরেপেক্ষ ও সকলের কাছে এবং জণগনের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা। এ নির্বাচন না হেল মানুষ আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে পড়বে। বেশিদিন এটা আর কেউ সহ্য করবে না। সুশাসনের জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এলডিপি সভাপতি বলেন, আমরা বিশদলীয় ঐক্যজোটে আছি। বিএনপি হলো সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল। তারা ড. কামাল হোসেন এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে আমি আমাদের পক্ষ থেকে তাদের শুভ কামনা করি। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি সময় খুবই কম কাজটি অনেক কঠিন। এই কঠিন সময়ে ভাগাভাগি কতটা সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশের মানুষের যে চরিত্র সেটা দেখে আমার সন্দেহ হয়েছিলো তাই এলডিপির পক্ষ থেকে সেদিন পরিষ্কার উল্লেখ করেছি।

অলি আহমদ বলেন, যাদের কাছে দু’জন প্রার্থী নাই তারাও এখন ১৫০জন প্রার্থী চায়। এটা দিয়ে রাজনীতি হয় না। এটা ভাগভটোয়ার রাজনীতি। এ রাজনীতি হবে না। প্রধান্য দিতে হবে যোগ্যতা এবং জণগনের কাছে যার যোগ্যতা আছে তাকে। না হলে দেশের মানুষের জণরোষ থেকে কেই রক্ষা পাবে না। সময় থাকতে সবাইকে আমি সাবধান করছি। আগামী দিনে এত সহজেই আপনারা পার পাবেন না। যে যতই আনন্দ করুক না কেন তারা যে যা পাপ করেছে সেটা তাদের অন্তর জানে।

তিনি বলেন, আমি সর্বশেষ আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আহবান জানাব আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করার। যাতে মানুষের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। তাছাড়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিলে দেশে আরেকটি রক্তপাত অপেক্ষা করছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক হুইপ আবদুল করিম আব্বাসি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি আবদুল গণি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দিন মোস্তফা, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।