প্রশাসন অনুমতি না দেয়ায় পিছিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি

বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা পুণ্যভূমি সিলেট যাবেন। পূর্বঘোষিত ২৩ অক্টোবরের কর্মসূচি পালনে স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি না দেয়ায় একদিন পিছিয়ে ২৪ অক্টোবর সিলেটে যাওয়ার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

এদিন সিলেটে সমাবেশ করার অনুমতি চাইবেন তারা। প্রশাসন অনুমতি না দিলে হযরত শাহজালাল (রা.), শাহপরাণ (রা.) ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানির মাজার জিয়ারত করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

শুক্রবার ধানমণ্ডিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে একটি স্টিয়ারিং এবং একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা ছাড়াও আগামী ২৬ অক্টোবর ঢাকায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত হয়।

এর বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ এবং ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে সমাবেশের কর্মসূচিও পালন করবেন তারা।

এছাড়া সিলেটে সমাবেশের অনুমতি না পেলেও তারা যাবেন সেখানে। রোববার আবার বৈঠকে বসে কর্মসূচি পালনের কৌশল ঠিক করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহসদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর সমন্বয় কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এদিকে সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটে কখন কীভাবে কে কে আসছেন জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ যুগান্তরকে জানান- সফর শিডিউল এখনো জানানো হয়নি। তবে সমাবেশের অনুমতি না পেলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম বর, সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমদ ও মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ শীর্ষ নেতারা মাজার জিয়ারতে সিলেট আসছেন।

এর আগে বুধবার ২৩ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ করার ব্যাপারে মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দেয়া হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সিলেট বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে এ চিঠি দেন। তখন পুলিশ কমিশনার মৌখিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরদিন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা নিরাপত্তার স্বার্থে সমাবেশ না করতে বলেন।