বিএনপি অবৈধ আন্দোলন করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে: কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে। নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি দেশে কোনো অবৈধ আন্দোলন করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।

তিনি বলেন, তারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়ার জন্য ঐক্যজোট সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও ঐক্যফ্রন্টের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক নির্বাচনী পথসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। দলটির সব গ্রহণযোগ্যতা সংকোচিত হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডের মাসালম্যান ও খুনি দলে পরিণত হয়েছে।

এই দলের প্রতি দেশের মানুষের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যজোটের প্রধান ড. কামাল মন্ত্রী হবেন না বলেছেন। তা হলে ঐক্যজোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এতিমদের টাকা মেরে খাওয়া দুর্নীতির মামলায় জেলে থাকা খালেদা জিয়া অথবা বিদেশে পলাতক হত্যা মামলার আসামি তারেক রহমান? এদের কি জনগণ মেনে নেবে? নেবে না।

তিনি বলেন, ধানের শীষ ছিল পেটের বিষ, এখন এটি পরিণত হয়েছে সাপের বিষে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীদের সম্মান করে শেখ হাসিনা বাবার নামের পাশে সন্তানের মায়ের নাম বসিয়েছেন। তাদের মাতৃকালীন ভাতা থেকে বয়স্ক ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা ও নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা আজ স্বাবলম্বী হয়েছে।

ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে নারীরা ঘরে বসে টাকা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। এ ছাড়া তার বক্তব্যে শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। নেতাদের যোগ্যতা দেখে মনোনয়ন দেয়া হবে।

‘যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই সব প্রার্থী কাজ করবেন। যদি এর ব্যতিক্রম হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি দেশে অসুস্থ ধারার রাজনীতি করার জন্য অসুস্থ মানুষের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট করেছে। এই ঐক্যফ্রন্টের কোনো ভিত্তি নেই। খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ঐক্য করেছে বিএনপি।

তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জাড়িত জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ নেই। সবাই একসঙ্গে নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে।

সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাভার (ঢাকা-১৯) আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, ধামরাই সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) এমএ মালেক, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।