রাজধানীর উপকণ্ঠে পোস্তগোলায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল নিয়ে বিক্ষোভরত পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় গুলিতে সোহেল (২৮) নামে এক ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালের এ ঘটনায় আরও ছয় শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের গুলিতেই হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে কার গুলিতে ওই শ্রমিক মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, টোলের হার নিয়ে অসন্তুষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে শ্রমিকরা বিআরটিএ কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন।
সেখান থেকে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই শ্রমিক মারা যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শ্রমিকরা জানান, এই সেতুতে আগে ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। গত ২২ অক্টোবর সেই টোল বাড়িয়ে করা হয় ২৪০ টাকা। হঠাৎ করে এত বেশি টোল বাড়ানোয় তারা বিপাকে পড়েছেন।
এই টোল কমিয়ে আনার দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার তা সহিংস রূপ নেয়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি চালালে ওই শ্রমিক নিহত হন বলে দাবি করেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বলেন, সকাল থেকে টোল নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তবে কার গুলি বা কীভাবে সোহেল মারা গেছেন, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর এ সেতুর টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৫ সালে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভে তিন দিন যান চলাচল বন্ধ ছিল।