পায়রায় হবে গভীর সমুদ্রবন্দর, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অঞ্চলে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীতে ১৬ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

এ সময় দেশের উন্নয়নের তার সরকারের নেয়া নানা প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর পটুয়াখালীর পায়রায় দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দরের যাত্রা শুরুর বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘পায়রা বন্দরকে ভবিষ্যতে ডিপ সি পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র এ অঞ্চলে নির্মাণ করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। এটা আমরা করে দেব।’

দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য এ এলাকায় এলএমজি টার্মিনাল, ‘মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার’ নির্মাণ করারও ঘোষণা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদী ড্রেজিং করা হবে। দক্ষিণ বঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নদীগুলোকে কার্যকর করা হবে।…এ অঞ্চলে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পটুয়াখালী পর্যন্ত আসতে কোনো সেতু ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানকারসবগুলো ব্রিজ আওয়ামী লীগ সরকারের করা।’

দক্ষিণাঞ্চল সব সময় অবহেলিত ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকাকালে এই অঞ্চল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘৮১ সালে প্রতিকূল পরিস্থিতে দেশর ফেরার পর আমি টুঙ্গীপাড়া থেকে স্পিডবোটে করে বরগুনা পর্যন্ত ভিজিট করেছি। এ অঞ্চলে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখেছি। অথচ সেসময়কার শাসকরা এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের সম্ভাবনা চোখে দেখেনি।’

কেবল এই অঞ্চল নয়, উন্নয়নের ছোঁয়া সারা বাংলাদেশেই পড়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বসবাস করবে।’

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য তৈরি আবাসিক এলাকা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ও ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন করতে গিয়ে কোন মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, তাদের জীবনমান যেন ব্যহত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছি। আমরা যাদের জমি নিয়েছি তাদের তিনগুন বেশি দামে ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। তাদের বাসস্থান নির্মাণ করেছি। তাদের বাড়ি ঘুরে দেখেছি। কথা বলেছি। তারা সবাই খুব খুশি।’

দুপুরে বিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনায় যাবেন। সেখানেও তিনি ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। বিকাল তিনটায় তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন তিনি।