ছোটপর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন তিনি। গত ৭ মে তাকে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্বামী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এই নোটিশ পেয়েই গত ২৫ জুন দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
চার মাস দেশে থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি প্লেনে নিউইয়র্কে ফিরে যান শ্রাবন্তী। এ সময় তার সঙ্গে ছিল দুই মেয়ে রাবিয়া ও আরিশা। বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর। ফিরে যাওয়ার তেমন কাউকে জানাননি কিছু। শ্রাবন্তীকে এগিয়ে দিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।
‘বিজ্ঞ ২য় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত ঢাকা, ইশরাত জাহান আজ দুই পক্ষের উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি সাপেক্ষে ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে দেয়া বিবাদী খোরশেদ আলমের তালাকের নোটিশের কার্যক্রম পারিবারিক মোকাদ্দমা ৬৬৯/১৮ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।’
১ আগস্ট নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে এই তথ্য জানিয়ে ছিলেন। শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলমকে আবারও একসঙ্গে দেখতে চান এই নির্মাতা। তিনি বলেন, রাবিয়া ও আরিশা (শ্রাবন্তী-খোরশেদ আলমের সন্তান) মা-বাবাকে একসাথে নিয়ে হাসি খুশি থাকো, আনন্দে থাকো। এই প্রার্থনা। আলম ভাই এবং শ্রাবন্তী তোমাদের আবার একসাথে দেখার আশায়, এই কামনা করি বিধাতার কাছে।’
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের। শুক্রবার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগে চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ব্যাপারে শ্রাবন্তী বলেছেন, ‘আমার সব ভালোবাসা আলমের জন্য। আমি অপেক্ষা করব। এখন আমাকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাকে দুই মেয়ের কথা ভাবতে হবে।’