ইয়াবার কারবারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড

songsod

ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন ও পেথিড্রিন জাতীয় মাদকের ব্যবহার, পরিবহন, চাষাবাদ, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি বা বাজারজাত করার সর্বোচ্চ শান্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা মৃত্যুদন্ড রেখে শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। বিলের ওপর দেয়া বিরোধী দলীয় সদস্যদের সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়।

জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করে জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, এটি নিষ্ঠুর আইন। ২৫ গ্রাম পরিমাণের মাদক পেলেই সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা মৃত্যুদন্ড। অনেক বাহক নিজেও জানে না সে হেরোইন বহন করছে। এর সঙ্গে পুলিশও জড়িত। ‘মৃত্যুদন্ড’ বা ‘যাবজ্জীবন’ এর আগে সর্বোচ্চ বলে কোনো শব্দ নেই। যে কারণে বিচারকের পক্ষে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া ছাড়া অন্য কোন শাস্তি দেয়ার সুযোগ থাকবে না। বেশ কয়েকটি ধারায় এই শাস্তির কথা বলা আছে। সুতরাং আইনটি পাসের আগে জনমত যাচাই করা দরকার।

জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৯৯০ সালের আইনে বলা আছে, ৫০ গ্রাম মাদক পাওয়া গেলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। ১৯৯০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৯৬ জনকে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু কারোরই মাদক আইনে মৃত্যুদন্ড হয়নি। তাই এবারের আইনে ইয়াবার ব্যবহারের বিষয় এবং মাদকে অর্থলগ্নিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।