প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল

যশোরের কারবালায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী যশোরের সন্তান তরিকুল ইসলামকে সমাহিত করা হয়েছে।

সোমবার বাদ আছর যশোরের ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তরিকুল ইসলামকে কারবালায় নিয়ে যাওয়া হয়। নামাজে জানাজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষনেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেনী পেশার প্রায় লাখো মানুষ অংশ নেন।

এর আগে ঢাকা থেকে বিকেল ৩টার দিকে যশোর শহরের ঘোপের নিজ বাড়িতে নেয়া হয় তরিকুল ইসলামের মরদেহ। সেখান থেকে শহরের লালদিঘীর পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়। এখানে তাকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।

toriqul islam lasএরপর তরিকুল ইসলামের মরদেহ নেয়া হয় যশোর ঈদগাহ মাঠে। সেখানে লাখো জনতা তাদের প্রিয় নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সবার চোখে-মুখে ছিল বিষাদের ছায়া।

তৃতীয় জানাযা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে বর্ষীয়ান রাজনীতিক তরিকুল ইসলামকে দাফন করা হয়।

moinkhanএর আগে জাতীয় সংসদ ভবন ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তরিকুল ইসলামের দু’দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু জানান, বৃহত্তর খুলনা বিভাগে বিএনপির অভিভাবক ছিলেন তরিকুল ইসলাম। তার মুত্যুতে জেলা বিএনপি তিন দিনের শোক কর্মসূচি গ্রহন করেছে। সোমবার কালো ব্যাচ ধারণ। আগামী দু’দিন দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

রোববার বিকেলে রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

toriqul islam jessore

তরিকুল ইসলাম যশোর সদর থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন তরিকুল ইসলাম।