‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস স্মরণে আজ সকালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবর্ক অর্পণ করেছে বিএনপি। সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উত্তোলন করা হয়েছে দলীয় পতাকা। রঙ্গিন পোস্টার প্রকাশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে।
সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কর্মীদের নিয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতেও অংশ নেন।
এ সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ,সানাউল্লাহ মিয়া, দেওয়ান সালাহউদ্দিন, আফরোজা আব্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম,কাজী আবুল বাশারসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাষ্ট মামলায় ৫ বছরের সাজায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ায় এই বছর দলের নেতারা জিয়ার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী। ৭ই নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
বিএনপি এই দিনকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস এবং জাসদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে।