মাহমুদউল্লাহর শতকে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে বাংলাদেশ, ২১৮ রান। প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার আশায় ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের কবলে পড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলীয় মাত্র ২৫ রানে হারিয়ে বসে চার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে। তবে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুনের অসাধারণ দৃঢ়তায় প্রতিপক্ষের সামনে ছুড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বিশাল লক্ষ্য।

আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যচের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে গড়ে ২২৪ রান। তাই সাফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে মাহমুদউল্লাহরা।

অবশ্য দলীয় মাত্র ৯ রানে ইমরুল কায়েস (৩) সাজঘরে ফেরেন। এরপর লিটন দাস (৬), মুমিনুল হক (১) ও মুশফিকুর রহিম (৭) দ্রুত আউট হলে শুরুতেই কিছুটা বিপদে পড়ে তারা।

এরপরই হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গে নেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। অভিষিক্ত মিঠুন ৬৭ রান করে আউট হলেও চমৎকার একটি সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১২২ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজও ৩৪ বলে ২৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন।

এর আগে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে, যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।

মুশফিক ও মুমিনুল মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁরা।

জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে গড়েছে ৩০৪ রান। তারা ১০৫.৩ ওভার খরচ করেছে। চোটের কারণে চাতারা ব্যাট করতে নামতে না পারায় ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় অতিথি দলটি। তাই প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের এই ইনিংস গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর। তাঁর চমৎকার শতকেই (১১০) গড়া সম্ভব হয় তিন শতাধিক রান। এ ছাড়া পিটার মোর ৮৩ ও ব্রায়ান চারি ৫৩ দুটি চমৎকার ইনিংস খেলেন।

স্পিনার তাইজুল ১০৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে বেশ চেপে ধরেছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তিন উইকেট তুলে নিয়ে শেষ বিকেলে কিছুটা চেপে ধরেন। আর একটি উইকেট পান আরিফুল হক।