৬০টির বেশি আসন ছাড়বে না বিএনপি

mirza fokrul
ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টকে মোট ৬০টির বেশি আসন দেবে না বিএনপি। দুই জোট মিলে সর্বোচ্চ ৬০টি আসন দেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুই চোট মিলে আমরা সর্বোচ্চ ৬০টি আসনে ছাড় দিতে পরে এর বেশি নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটকে এরই মধ্যে ১৫টি আসন দেওয়া হয়েছে। আরো দেওয়া হতে পারে।

বিএনপি এ পর্যন্ত ৮শ জনকে মনোনয়ন চিঠি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘আপিল চলাকালে নির্বাচন করতে পারবেন না দণ্ডিতরা’ আদালতের এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, আদালতের আদেশে আমরা আশাহত। এই রায় জনগণের মনে অনেক প্রশ্নের উদ্ভভ ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি এই রায় সরকারের আশার প্রতিফলন। দেশের জনগণও তাই মনে করে।

বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে এবং আপিলে মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আপিল বিভাগ দণ্ড স্থগিত বা বাতিল করে জামিন দিলে তবেই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন। মঙ্গলবার দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে, সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাবের পক্ষে দণ্ড ও সাজা বাতিলের ওই আবেদন করা হয়েছিল।

আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। মশিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, আপিলের পর জামিন নিয়ে জরিমানা স্থগিত হলেও কারাদণ্ড স্থগিত হয়নি। তাই সাজা সাসপেন্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন তারা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করায় ওয়াদুদ ভুঁইয়াকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোট ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল ২০০৯ সালে জামিন লাভ করেন।

এছাড়া, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করে মো. আবদুল ওহাবকে যশোর স্পেশাল জজ গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকার জরিমানা দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ৬ ডিসেম্বর জামিন নিয়েছেন।

জ্ঞাত বহির্ভূত আয় প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার তিনশ’ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশরাফ হোসেন মৃধা মামলা করেন।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে পৃথক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

একইসঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরবর্তীতে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।

২০০৮ সালের ২৫ মে দুর্নীতির মামলায় মোট ১৩ বছরের দণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্ট থেকে পরে তিনি জামিন নেন।

আমান উল্লাহ আমানকে দুর্নীতির মামলায় ২০০৭ সালের ২১ জুন বিচারিক আদালত ১৩ বছরের সাজ দেন। পরে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

২০ দলীয় এনপিপি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। নড়াইল-২।

নায়িকা কেয়া

আমার প্রান প্রিয় গলাচিপা ও দশমিনাবাসী !

আস্সালামু আলাইকুম। মহান আল্লাহ পাকের দয়া এবং আপনাদের দোয়ায় আমি পটুয়াখালী-৩ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছি।

গলাচিপা-দশমিনার সর্বস্তরের মানুষের যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি তাতে আমি রীতিমতো মুগ্ধ। বিএনপির নেতৃবৃন্দ যেমন আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন তেমনি আওয়ামীলীগের বন্ধু ও সমর্থকবৃন্দের অনেকে কষ্ট পেয়েছেন যা আমি বিলক্ষন অনুভব করতে পারছি।

পটুয়াখালী-৩ আসনে যিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি নিঃসন্দেহে যোগ্য এবং ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমার ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। তার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে প্রতিযোগীতা করে গলাচিপা ও দশমিনায় একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা যুগপৎভাবে কাজ করতে পারবো বলে আশা করছি।

আমি নির্বাচন কমিশনের বিধানমতে অন লাইনে-নমিনেশন পত্র জমা দেবো এবং প্রতীক বরাদ্ধের পর যেদিন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার- প্রচারনা শুরু হবে সেদিন গলাচিপা-দশমিনার মাটিতে পা রাখার মাধ্যমে নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করবো ইন্শা আল্লাহ ! আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের সকলের দোয়া, সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করছি।