শীতের আগমনের সাথে ঝিনাইদহে লেপ তোষকের কারীগরদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে

শীতের আগমনের সাথে সাথে বেড়ে গেছে লেপ তোষকের কারীগরদের ব্যস্ততা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই সব কারীগরদের কর্ম। শীতের সাথে সাথে যেন লেপ তোষক ব্যবসায়ীদের রয়েছে আবহমান কাল থেকে মেল বন্ধন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ, কালিগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ড, মহেশপুর এসব অঞ্চলের কারীগররা সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।

২০ বছর ধরে এ ব্যবসার সাথে জড়িত কারীগর মিলন জানান, শীত আসলেই এসব কারীগরদের খোঁজ মেলে। প্রতিটি তোষক তৈরী করতে গড়ে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগে। রাত জেগে কাজ করে দিনে ৫/৬ টি তোষক তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিটি কারীগর মৌসুমে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মুনাফা অর্জন করে থাকে। শিমুল তুলার লেপ তৈরী করতে সাধারনত খরচ একটু বেশীই পড়ে।

তিনি আরও জানান, বছরের সবটা জুড়ে এ কাজ হয় না বলে জীবিকার তাগিদে আমাদের ভিন্ন পেশায় যোগ দিতে হয়।

ঝিনাইদহের জলিল বেডিং ষ্টোর স্বত্বাধিকারী জানান, শীত আসলেই লেপ তোষকের ব্যবসা জমজমাট হয়। তুলা ২০-১০০ টাকা, কভার ২০০-৪০০ টাকা এছাড়া আকার ভেদে একটা লেপ ৫০০-২০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা একটু কম হচ্ছে। কারণ একশ্রেণীর হকার গ্রামাঞ্চলে রিক্সা ভ্যানে এগুলো বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। সে কারনে গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা শহরে একটু কম আসছে।

ঝিনাইদহ থেকে হালিম নামের এক হকার জানান, সে ঝিনাইদহ শহর থেকে পাইকারী হারে ক্রয় করে ভ্যানে করে তা গ্রামে গ্রামে বিক্রয় করে থাকে। প্রতি কেজি গার্মেনটস এর সিট কাপড়ের তোলা ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এদিকে শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় তুলার মূল্যও এখন অনেক বেশি।