বিশ্বনেতাদের মুখ মুখ রক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বলপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের মুখ রক্ষা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিতাম, তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি সবচেয়ে নির্মম এবং সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা বলে বিবেচিত হতো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বিশ্বনেতাদের মানবাধিকার রক্ষায় নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রকৃত অঙ্গীকার প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এবং মানবাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন। এ সময় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বড় উদাহরণ তৈরি করেছে জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে রোহিঙ্গাদের মুক্ত চলাফেরাসহ তাদের যা প্রাপ্য তা বুঝিয়ে দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।

আবদুল মোমেন জানান বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, খুব দ্রুত তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা মিয়ানমারের নিপীড়নের শিকার, তাদেরই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেছেন, আমার ভয়ের কারণ এই যে, তারা দীর্ঘদিন এখানে থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে যা শুধু মিয়ানমার বা বাংলাদেশের জন্য নয় গোটা এলাকার জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বনেতাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই গভীর সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশ আপনাদের কার্যকর সহযোগিতা চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা মিয়ানমারের সমস্যা, তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। আমরা বলেছি, মিয়ানমারেই একটি সেফ জোন তৈরি করে রোহিঙ্গাদের সেখানে প্রত্যাবাসন করা হোক। এখানে বিশ্বাসের একটি ব্যাপার আছে। এ জন্যই আমরা বলছি, ভারত, চীন, আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো মিয়ানমারকে এটা দেখভাল করবে। কারণ, তাদের প্রতি মিয়ানমারের আস্থা আছে।