ফুল চাষ দেখে আমি খুবই খুশি : যশোরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ফুল চাষ দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এ অঞ্চলে উন্নতমানের ফুল উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানির চেয়ে মান সম্মত ফুল উৎপাদনে কাজ করছে আমেরিকা। বাংলাদেশে বার্ষিক ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ফুলের বাজার রয়েছে। এই বাজার আরও সম্প্রসারিত হাবে। আর অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালির পানিসারা এলাকায় ফুল চাষ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার যশোর ও খুলনা এলাকার পরির্দশনের অংশ হিসেবে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে গদখালিতে যান। সেখানে ফুলের শেড পরিদর্শন ও চাষীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আমার স্ত্রীও একজন চাষী। তিনি সবজি চাষ করেন। আপনাদের ফুল চাষ দেখতে এসেছে। ফুল চাষে অঞ্চলের নারীরা অংশ নিচ্ছে। এ সম্ভাবনা বাড়াতে ও চাষীদের উন্নয়নে ইউএসআইডি কাজ করছে। তারা কৃষিক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চায়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মিশেল এডেলম্যান, আমেরিকার ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জেনা সালাহ। এসময় চাষীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে মার্কিন সরকারের সহায়তা কামনা করেন।

মিশেল বলেন, আমি গুল্ম জাতীয় সবজি চাষ করি। ফুল আমার খুব পছন্দ। আপনাদের ফুলচাষ দেখতে এসেছি। এখানে দেখছি নারীরাও ফুল চাষ করছে। আমার খামারেও ৬৫জন নারী কাজ করেন। ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জেনা সালাহ বলেন, ফুল আমার খুব পছন্দ। আপনারা কিভাবে ফুল চাষ করেন, সেটি দেখতে এসেছি। ইউএসএআইডির সহযোগিতায় কিভাবে ফুল বিপ্লব হয়েছে সেটি দেখার জন্যই এসেছি।

ইউএসআইডির প্রাইভেট সেক্টর বিভাগের উপদেষ্টা অনুরদ্ধ রায় জানান, তারা চাষীদের উন্নত চাষাবাদ ও মানসম্মত ফুল উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এতে উৎপাদনশীলতা ১৫০ ভাগ পর্যন্ত বেড়েছে। এজন্য পানিসারায় বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাওয়ার স্টোর নির্মাণ করেছে। আগামীতে প্যাকেজিং, গ্রেডিং ও রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের স্থানীয়র সরকার বিভাগের উপপরিচালক নূর ই আলম, বিএডিসি ( সেচ) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম, প্রবীণ চাষী শের আলী প্রমুখ।