পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ক্ষমা চাইলেন সানাই

ইন্টারনেটে অপেশাদার এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী সানাই মাহবুব সুপ্রভাকে ডেকে নিয়েছিল পুলিশ। এরপরই ফেসবুক লাইভে আসেন সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত এই মডেল ও অভিনেত্রী। নিজের ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, আমি যে কনটেন্টগুলো ফেসবুকে দিয়েছি সেগুলোতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্করা। এসব ভিডিও ও ছবি সরিয়ে ফেলার কথাও জানান সানাই।

এর আগে রোববার সানাইকে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে নিয়ে আসা হয়ে।

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশ জর্নালকে বলেন, তাকে আটক করা হয়নি। কিছু বিষয়ে জানার জন্য সানাই মাহবুবকে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইন এর অংশ হিসেবে আজ সানাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের অফিসে এনেছিলাম। সানাই তার ভিডিওগুলোর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে। সে সব ভিডিও মুছে ফেলতে সম্মত হয়েছে। সে মুচলেকা দিয়েছে যে সে কখনো আর এ ধরনের ভিডিও বানাবে না। সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ আর এহেন কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখবে। যে তার মুচলেকার বাইরে কিছু করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য অনেকের জন্যও আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে মূলত টিকটক ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে খোলামেলা এবং অসামাজিক কথাবার্তা বলে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন সানাই। তার পোস্ট ও বার্তাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত।

দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নজরে রেখেছিল পুলিশ। ইতোমধ্যে সমাজকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে দেড় হাজার পর্নো ও জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে সানাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।

উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকারের এই অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের সব সাইবার ইউনিট, র‍্যাব, বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ-টু-আই একযোগে কাজ করছে।