সিমলা তালাক দিয়েই মুম্বাইয়ে চলে গেছেন

সিমলা শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ম্যাডাম ফুলি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এই চলচ্চিত্রে সিমলা ও ফুলি দুটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে আছেন। সেখানে সম্প্রতি একটি ছবির কাজ শেষ করেছেন। তিনি জানান, আমি অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশে নেই। ভারতের মুম্বাইয়ে (মিরা রোডে) আছি। কলকাতার নির্মাতা অর্পণ রায় চৌধুরীর হিন্দি একটি ছবিতে কাজ করলাম। শুটিং শেষ করেছি।

ছবির নাম আপাতত ‘সফর’ রাখা হয়েছে। তবে নাম পরিবর্তন হতে পারে। ভারতের কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংস এন্টারপ্রাইজের ব্যানারে এ ছবিটি তৈরি হয়েছে। এ কাজটি নিয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলাম। কাজটি নিয়ে আমি আশাবাদী।

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় নিহত পলাশ আহমেদের সঙ্গে তার বিয়ে ও বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, এক পরিচালকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর পলাশের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। এরপর বন্ধুত্ব এবং গত বছরের ৩রা মার্চ বিয়ে হয় আমাদের। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ তাকে ডিভোর্স দিয়ে ১৫ই নভেম্বর ভারতে আসি। বনানীর একটি কাজী অফিসে আমাদের ডিভোর্স হয়। তবে পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলাম আমরা।

পলাশের বাবা পিয়ার জাহান জানান, কোরবানি ঈদের এক মাস আগে এবং এরপর এক সপ্তাহ আগে দু’দফায় পলাশ বাড়ি গিয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে চলচ্চিত্র নায়িকা সিমলা ছিলেন।

তার ভাষ্য, পলাশ তাকে জানান, সিমলাকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে পলাশের এই বিয়েতে পরিবারের প্রবল আপত্তি ছিল। এ কারণে যেদিন এসেছিলেন, ওই দিনই সিমলা ও পলাশ ঢাকায় চলে যান।

সর্বশেষ একটানা ১৫ দিন বাড়ি ছিল পলাশ। দুবাই যাবেন বলে শুক্রবার বাড়ি ছেড়ে যান তিনি।