বাগেরহাট শহরে হোসনে আরা বেগম নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ সরুই এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তবে কারা কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। রাতেই বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত হোসনে আরা বেগম বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তার স্বামী গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। ওমরা হজ পালন করতে বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে রয়েছেন। তার তিন ছেলে রয়েছে। চাকরির সুবাধে তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না।
নিহতের ছোট বোন ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘আমার বড় ভাগ্নের ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি বোনের রক্তাক্ত মরদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। ঘরের সব দরজা খোলা। দুটি আলমারি ভাঙা। পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে না থাকায় দুর্বৃত্তের দল ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে তা তার স্বামী ও ছেলেরাই বলতে পারবে। ঘরে ঢোকা দুর্বত্তদের হয় তিনি চিনে ফেলেছেন অথবা মালামাল লুটের সময় বাধা দেয়ায় তারা ক্ষুব্দ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।’
‘রাত পৌনে দশটার দিকে নিহতের বড় ছেলে ফরিদ হোসেন ঢাকা থেকে ফোন করতে থাকে। বারবার ফোন করেও তাকে না পেয়ে তার খালা ঝর্ণা বেগমকে ফোন করে মার খোঁজ নিতে বলেন। তখন ঝর্ণা বেগম তাদের বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢুকে খাটের উপর তার বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।’
‘পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। কারা কী কারণে বৃদ্ধ নারীকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’