চৈত্র মাসের শুরুতেই যশোরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

বাংলা চৈত্র মাসের ৮ তারিখ। তাপমাত্রার প্রথম ধাপ। এখনো তেমন তাপমাত্রা পড়েনি। তাপমাত্রা সহোনীয় পর্যায়ে। অথচ চৈত্রের শুরুতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। আর এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সামনে এইচ এসসি পরিক্ষার্থীরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।

বিদ্যুতের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, যশোরে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। মাঝে মধ্যে সংস্কার জনিত কারনে বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে।

যশোর বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোরে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে পিক আওয়ারে ১ শ ৩৮ থেকে ১ শ ৪৫ মেগাওয়াট। গত বছর পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ শ ৫৮ মেগাওয়াট। যশোরে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে ২ শ ৫৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আনুমানিক ২ মেগাওয়াট এরায় বেইজে ও ৫ মেগাওয়াট ক্যান্টনমেন্টে সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া আগামি এপ্রিল মাসে নাভারণে ১শ ৩২ কেভির সাব স্টেশন চালু হলে যশোর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা আরো ৪০ মেগাওয়াট কমে যাবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানা যায়, নাভারণে এপ্রিল মাসে ১৩২ কেভির সাব ষ্টেশন চালু হওয়ার কথা। এটা চালু হলে শুধু নাভারণ নয়, ঝিকরগাছা, বাগআচড়া, ও বেনাপোলে এই সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

জাতীয় গ্রীড থেকে যশোরের মতো নাভারণে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানান যশোর বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রেল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত র্কর্মকর্তা সহকারি প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, যশোর জেলার শিল্প নগরি নওয়াপাড়ায় আলাদা ১শ ৩২ কেভির সাব স্টেশন রয়েছে। এখানে শিল্প কলকারখানা থাকায় অনেক আগে আলাদা সাব স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সাব স্টেশনে জাতীয় গ্রীড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ আসে। আমরা শুধু রক্ষনা বেক্ষন করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে যশোর জেলায় বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। বরং আরো বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে। মাঝে মধ্যে যে টুকু বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় এটা শুধু মেরামত জনিত কারণে।

এদিকে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেছেন, গরম পড়ার সাথে সাথে সম্প্রতি যশোর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। এতে আগামি ১ লা এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এইচ এসসি পরিক্ষার্থীরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরীক্ষার্থীদের পড়া লেখায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। গ্রাহকদের দাবি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে চলতি মাসের একয়দিন এবং পরীক্ষা চলাকালীন যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রট না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্তদের নজর দিতে হবে।