যশোরে বন্ধক রাখা জমি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি, সীমানা ভেঙে হুমকি-ধামকি: থানায় অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন

যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকায় পাঁচ বছর মেয়াদে বন্ধক রাখা ১০৪ শতক জমি মেয়াদ শেষেও ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জমির মালিকপক্ষ মঙ্গলবার (৮জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ মোখলেসুর রহমান। তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৬ জুন তার পিতা মোঃ মিজানুর রহমান রূপদিয়া বাজার সংলগ্ন তাদের ১০৪ শতক জমি মোঃ সিরাজুল ইসলামের কাছে পাঁচ বছরের জন্য বন্ধক দেন। এ বিষয়ে ৫০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিও সম্পাদিত হয়।

মোখলেসুর রহমানের অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মৌসুমে বাজারমূল্য অনুযায়ী লিজের টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সিরাজুল ইসলাম দুই সিজনের ৯০ হাজার টাকা এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, সর্বমোট ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি।

তিনি আরও জানান, জমির বন্ধকী মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুনভাবে চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হলেও সিরাজুল ইসলাম কোনো সাড়া দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন জমি পরিমাপ করে এবং ২ জুলাই জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা সীমানা পিলার ও নেট ভেঙে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এ সময় তারা হুমকি দেন যে, জমি ছাড়বেন না এবং কেউ জমিতে গেলে মারপিটের শিকার হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয়ে তারা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোখলেসুর রহমানের পক্ষে তার পিতা মিজানুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, অনিক ইসলাম, জাহিদ হোসেন এবং মহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।