আবারও বাকশালের তোড়জোড় : ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে আবারও বাকশাল কায়েমের তোড়জোড় করছে সরকার।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিনিধি সভা ২০১৯’র এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বাকশাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, অনেক পানি গড়িয়েছে, ৭৫ আর ২০১৯ সাল এক নয়। সুতরাং একদলীয় শাসনের যে স্বপ্ন আপনারা দেখছেন, রাজত্ব চিরস্থায়ী করবেন, এদেশের জনগণ কোনোদিনেই এ অবস্থা মেনে নেবে না।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র পরিচালনা করার কথা কিন্তু প্রশাসন রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তৎকালীন ৭২-৭৫ আওয়ামী লীগ সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হতে শুরু করলেন, যখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হলো তাদের দুর্নীতির কারণে, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হলো, তখন জরুরি আইন চালুর মধ্য দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। সেই বাকশালের পেছনে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিল না। সেই বাকশালের কারণ ছিল তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার, ক্ষমত কে ধরে রাখবার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, বেআইনিভাবে তাকে আটক রাখা হয়েছে। কোনো আইনেই তাকে আটক রাখা যায় না। প্রতিদিন তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে নওয়াজ শরীফ কনভিক্টেড, তিনি জামিনে আছেন। আওয়ামী লীগের যারা কনভিক্টেড তারাও জামিনে। নাজমুল হুদা একসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ১৪ বছর সাজা হয় তার, পাঁচ দিন পর বের হয়েছেন। সেখানে এক বছরের উপরে হলো দেশনেত্রীকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছে। এর আগে একবার হাসপাতালে নিয়ে এসে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর সাড়ে তিন মাস কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।

দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের আর পেছনে তাকানোর সময় নেই, আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে। আমরা পরাজিত হব না। আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্র মুক্ত করব। রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খানের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহীম বীর প্রতীক প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।