ঢাকার বনানীর অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের প্রাণহানিতে সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, সরকার বিরোধী দল দমনে নানা অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনলেও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিসের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম কিনছে না।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবের বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে ও মানুষজনকে উদ্ধারে সরকার ফায়ার সার্ভিসে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মানুষ বাঁচানোর জন্য কোনো উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ফায়ার সার্ভিসের নেই, ব্যবস্থাপনাও নেই।”
উন্নত বিশ্বের অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে বিএনপি নেতা বলেন, ফায়ার সার্ভিস আধুনিকায়নে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
“শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন করলে এত মানুষের প্রাণ যেত না। অথচ গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার জন্য কত যে আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।”
রিজভী বলেন, “নিয়ে আসা হয়েছে সর্বাধুনিক বিপদজ্জনক টিয়ারশেল, স্মোক গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড, রবার বুলেট, গোল-মরিচ স্প্রেসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র।
“বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ৩০ হাজার আধুনিক মরণঘাতি ১২ বোর শটগান। স্বীকারোক্তি আদায় বা নির্যাতনের জন্য আনা হয়েছে ইলেকট্রিক চেয়ার, আধুনিক ডিভাইস।
“বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ফোনে আড়িপাতার জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত যন্ত্রপাতি নিয়ে আনা হয়েছে। গোপনে অডিও-ভিডিও করার উন্নতমানের ডিভাইসও নিয়ে আনা হয়েছে।”
নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আগেই আগুন লেগে গুলশানের ডিনসিসি মার্কেট লাগোয়া কাঁচাবাজারের দেড়শর মতো দোকানের সবগুলো পুড়ে যায়।
এই প্রসঙ্গ ধরে রিজভী বলেন, “মানুষ বাঁচাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ঢাকাসহ বাতাসে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
“এরা আছে, বিরোধী দল দমনে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে কষ্ট ও নির্যাতন দেওয়া যাবে, সেই কাজে।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ, আবুল খালেক।