মামলা দিয়ে এরশাদকে দমিয়ে রাখা হয়েছে: রওশন

rowsan arshad
ফাইল ছবি

দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘তিনি (এরশাদ) যাতে মাথা উঁচু করে রাজনীতি করতে না পারেন তাই তাকে মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় যুবসংহতির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

এরশাদের শাসনামলেই দেশে প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি রওশনের। সংসদে বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতার স্ত্রী বলেন, ‘তার (এরশাদ) আমলে মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করেছে। তিনি উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উন্নয়নকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।’

রওশন বরেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ তুলে দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’ বেকারত্ব দূর করতে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, ব্যাপক শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।

আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে দলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় যুব সংহতির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান রওশন এরশাদ।

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই দাবি করে রওশন বলেন, ‘এরশাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। ওনার যেকোনো সিদ্ধান্ত পার্টির সবাই মেনে নেন। জাপার বিভেদ নিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন।’

সম্প্রতি এরশাদ তার ভাই দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেন। এ ছাড়া সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেন তাকে। এর পেছনে দলের অন্তঃকোন্দল কাজ করেছে বলে প্রচার আছে। তবে দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে বহাল আছেন কাদের।

সমাবেশে জি এম কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টিকে দেশের ইতিবাচক রাজনীতির মূল নিয়ামক শক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আর জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হলো জাতীয় যুব সংহতি।’ জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে যুব সংহতির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১০টায় সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।