চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির ৬২ নেতার পদত্যাগপত্র দুই বছর পর গ্রহণ

bnp logo

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির ৬২ নেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। পদত্যাগের আবেদনের দুই বছর পর গত ১ এপ্রিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক চিঠিতে পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদিত হওয়ার কয়েকদিন পরই উক্ত কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। নির্দেশক্রমে আপনার পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রত্যেকজনকে অবহিতকরণ পত্র পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের পরই ৭২ জন নেতা নবগঠিত জেলা কমিটি বাতিল ও পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত আবেদনে জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আমিনুল ইসলামসহ কমিটির বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন জেলা কমিটির নেতারা। পদত্যাগপত্রে ৭২ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষর না থাকায় তাদের বাদ দিয়ে ৬২ জনের পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ মো. শামসুল হক, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সেন্টু, মো. আব্দুর রহমান বিশ্বাস, মো. আসাদুল্লাহ; সহসভাপতি আব্দুল লতিব, মো. তসিকুল ইসলাম, মো. আতাউর রহমান, মো. আবুল কালাম সামসুদ্দিন (শরিফ মিয়া), মো. বাইরুল ইসলাম, মো. আসরাফুল আলম রশিদ; যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট মো. ময়েজ উদ্দীন, মো. আমিনুল ইাসলাম মতি; কোষাধ্যক্ষ মো. খায়রুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদিউজ্জামান মিয়া, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম দোলন, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আসমা রেহেনা রোজী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক আহমদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সামিরুল ইসলাম পলাশ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. দুরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো. কাজী আসাদুজ্জামান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. এনামূল হক, শিশু বিষয়ক সম্পাদক নিপু বিশ্বাস, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রসুল ডালিম, এডভোকেট আব্দুর রহমান, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিম ফজলে আজিম, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদেরসহ কমিটি ৬২ সদস্যর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

পদত্যাগি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. তসিকুল ইসলাম পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৬২ জনের পদত্যাগ গ্রহণের পর জেলা কমিটি থাকার কথা নয়। বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও বর্তমান এমপি মো. হারুনুর রশিদও পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।