রাসায়নিক ঠেকাতে আমের বাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ হাই কোর্টের

ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

আসন্ন আমের মৌসুমকে সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

আবেদনকারী সংগঠনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে বলেন, “আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) দেশের বড় বড় ফলের বাজার ও আড়তগুলো মনিটরিংয়ে টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

আর পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট আম হাটে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট আম হাটে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়। “তাছাড়া রাজশাহী অঞ্চলসহ দেশের যেসব জেলায় বড় আম বাগান রয়েছে, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে মনিটরিং টিমে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে এ সংক্রান্ত ২০১২ সালের রায়ে।”
মনজিল মোরসেদ বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করে শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি রায় দিয়েছিল।

আইনজীবী মনজিল বলেন, “সে রায়ে মামলাটি চলমান ছিল। কিন্তু এই বছর আমের মৌসুমকে সামনে রেখে গত রোববার আমরা আবার হাই কোর্টে আবেদন করি। যার প্রেক্ষিতে মহামান্য হাই কোর্ট আজকে এ আদেশ দিলেন।”