নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড অধ্যক্ষ সিরাজ: মানবাধিকার কমিশন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফয়েজুল কবির বলেন, নুসরাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদদৌলা।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থল ওই মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আল মাহমুদ বলেন, গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিলে হয়তো নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা এড়ানো যেত।

আল মাহমুদের নেতৃত্বে তদন্ত দল প্রথমে ঘটনাস্থল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করেন।

পরে তদন্ত দল প্রধান অভিযুক্ত আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদদৌলার অফিস কক্ষ ও যেখানে নুসরতকে কেরোসিন দিযে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয় সে স্থান পরিদর্শন করেন।

পরে তদন্ত দল নিহত নুসরাত জাহান রাফির বাসস্থান সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়ায় মেজো হুজুরের বাড়িতে যান। সেখানে তদন্ত দল নিহত নুসরাতের পরিবারের সাথে কথা বলেন।

মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, নুসরতের হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সোহেল পারভেজ।

নুসরাতের চাচা শামীম বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকে যৌন হয়রানি, চেক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ইতোমধ্যে ৯ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। আমাদের বিভিন্ন টিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

গত বুধবার রাতে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।