যশোরের ঝিকরগাছায় মাসুমা খাতুন(১৫) নামে এক কিশোরীকে তার সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাত করেছেন। শুক্রবার সন্ধার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হারানের মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাসুমা খাতুন উপজেলার ফুলবাড়ি দৌলতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে ও কায়েম কোলা ভকেশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
মেয়ের মামা রাশেদ অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে তালাক দেওয়ার অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
রাশেদ অভিযোগে বলেন, ‘তাঁর বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকালে মাসুমা নিজ বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে ঝিকরগাছা স্ট্যান্ডে নেমে বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় তার পিছু নেই একই উপজেলার মহাম্মাদপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান। পরে উপজেলার হারানের মোড় নামক স্থানে পৌছালে জাহিদ তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ও পরে রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
মামা রাশেদ আরও জানিয়েছে, এক বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাসুমার সাথে জাহিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পরিবারের লোকজন জানাজানি হলে সাত মাস আগে তারা পালিয়ে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে মেয়ের পরিবার মেনে নেইনি। তখন শ্বশুর বাড়িতে তারা বসবাস শুরু করে। এর মধ্যে স্বামীর বিভিন্ন অজুহাতে মাসুমার উপরে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাসুমা চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে পিতার বাড়িতে চলে আস। এ সময় মাসুমার বয়স কম থাকায় অভিভাবকের কথা মত উকিলের মাধ্যমে তার স্বামী জাহিদকে তালাক দেয়। তালাক নামা হাতে পাওয়ার পর থেকে জাহিদ বিভিন্ন সময় মোবাইলে ও পথে মাসুমাকে ঘরে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। তার কথায় সাড়া না দেওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক স্বামী তাকে ছুরিকাঘাত করে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সহকারী রেজিষ্টার ডা. মনিরুজ্জামান লর্ড বলেন, শুক্রবার রাতে মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু অপারেশন করার মত রোগী উপযুক্ত ছিলো না। ফলে শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে অপারেশন করা হয়েছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।