নুসরাত হত্যায় গ্রেপ্তার কামরুন নাহার মণি রিমান্ডে

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় তার সহপাঠী আলিম পরীক্ষার্থী কামরুন নাহার মণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদলত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম বুধবার কামরুন নাহার মণিকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক শরাফউদ্দিন আহমেদ পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

নুসরাতের মত কামরুন নাহার মণিও এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ৬ এপ্রিল পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার একটি ভবনের ছাদে যে পাঁচজন নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছিল, তাদের মধ্যে মণিও ছিলেন বলে পিবিআইয়ের ভাষ্য।
ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন নুসরাত। গত ২৬ মার্চ নুসরাতের মা শিরীনা আক্তার মামলা করার পরদিন সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

ওই মামলা প্রত্যাহার না করায় পরীক্ষার হল থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয় বোরখা পরা কয়েকজন। আগুনে শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার গত সোমবার বলেন, “আগুন দেওয়ার সময় প্রথমে চারজনের নাম পাওয়া গেলেও তদন্তকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে পাঁচজন ছিল। এই পাঁচজনের মধ্যে দুইজন নারী।”
ওই দুই নারীর মধ্যে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার ভায়রার মেয়ে উম্মে সুলতানা পপিকে আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছিল পিবিআই।

এদিকে এ মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে শরীফ নামে আরও একজনকে পিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শরীফকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাকে আদালতে তোলার আগে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাননি পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।