বিস্ফোরণে কাঁপল শ্রীলঙ্কার গির্জা-হোটেল, প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তিনটি গির্জা ও তিনটি অভিজাত হোটেলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সবশেষ কমপক্ষে ১২৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। প্রতিমুহূর্তেই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

আজ রোববার সকালে প্রার্থনার সময় এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে ইস্টার সানডের প্রার্থনার সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা ও কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জাসহ একাধিক জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলঙ্কার সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো পাঁচ তারকা বিলাসবহুল হোটেলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এ হামলার পর সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জার ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ‘আমাদের চার্চে বোমা হামলা হয়েছে। যদি আপনাদের পরিবারের কেউ এখানে থেকে থাকে, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’

এ হামলার পর আলোচনার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি বৈঠক করবেন বলে জানান। এ ছাড়া সারা দেশে দুদিনের জন্য স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। আমরা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছি।’

শ্রীলঙ্কার এই বিস্ফোরণের বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি। কেন এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই সম্পর্কেও কিছু বলেনি পুলিশ।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশটির মাত্র ছয় শতাংশ ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ইস্টার সানডের প্রার্থনার জন্য অনেক খ্রিস্টান চার্জগুলোতে জড়ো হয়েছিলেন। সেই মুহূর্তটিই হামলার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।