ফেসবুকে লাইভে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন অবমাননার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মঙ্গলবার ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী জীবন এ মামলা করেন।
মামলার আইনজীবী ওয়াকিলুর রহমান জানান, বিচারক আস্ সামস জগলুল হোসেন শুনানি শেষে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ওই মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল কোরআন নিয়ে অবমননাকারী মন্তব্য করে ও মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল মন্তব্যে করেছেন। যা বাদীসহ মুসলিম জাহানের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কটূক্তি করেন।
মামলায় এ আসামির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই সেফুদা উন্মাদ ও বাবার ত্যাজ্যপুত্র। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের ছেলে। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদার ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। তার মধ্যে সেফুদার আপন ভাই-বোনের সংখ্যা আটজন। তবে কারো সাথে তার সম্পর্ক নেই।
পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফুদাকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।