পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নং পিলারের ওপর ১১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো ১৬৫০ মিটার। আর ১১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আরও এক ধাপ এগুলো বাস্তবতার দিকে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১০ম স্প্যান বসানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানো হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে দশম স্প্যান স্থাপনের ১৩ দিনের মাথায় জাজিরা প্রান্তে বসানো হলো ১১তম স্প্যানটি।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। প্রতিমাসেই একটি করে স্পেন বসানো হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও জানায়, পদ্মা বহমুখী সেতু প্রকল্পের ৬৫ ভাগ কাজ ও সেতুর প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তোলা হবে বলে আশাবাদ সেতু কর্তৃপক্ষের।
এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ক্রেন স্প্যানটি নিয়ে রওনা দেয়। পরে দুপুরে পৌঁছায় জাজিরা প্রান্তের ৩৩ ও ৩৪ নং পিলারের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান এবং গত ২৩ জানুয়ারি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৬ষ্ঠ এবং গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৮ম স্প্যান বসানো হয়েছিল। ২২ মার্চ জাজিরা প্রান্তে ৮ম এবং এর আগে গত বছর মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর ১০ম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।
পদ্মাসেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় স্প্যানটি। এ পর্যন্ত পদ্মাসেতুতে ১১টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ১৬৫০ মিটার।