মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের সীমা ৬১ বছর করার সুপারিশ

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের সময় সীমা ৬০ বছর হলেও তা বাড়িয়ে ৬১ করার সুপারিশ করছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ ও বিচারপতিরা ৬৭ বছর বয়সে অবসরের সুবিধা পাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে কী ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় অন্যান্য দপ্তরের প্রধান সহকারী, সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোর পদবী পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করাসহ বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠকে কমিটি সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ.স.ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পনির উদ্দিন আহমেদ এবং ফেরদৌসী ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।