চলতি সপ্তাহ শেষে দেশে ফিরতে পারেন ওবায়দুল কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনেকটাই সেরে উঠেছেন। বর্তমানে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারছেন। চলতি সপ্তাহ শেষে দেশে ফিরতে পারেন তিনি। আগামী ১৫ মে একটি ফ্লাইটে দেশে আসার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন এমন আশা আমরা করছি।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।

গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুমন্ত্রী এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার পরই দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ দিন পরই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।

বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি বাড়িতে থাকছেন।

গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।

ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি।