এ টি এম শামসুজ্জামানকে কেবিনে স্থানান্তর

একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে তাঁকে আজগর আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বিভাগ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি স্বাভাবিকভাবে বিছানা ছেড়ে উঠছেন, দাঁড়াতে পারছেন। স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন।

এ টি এম শামসুজ্জামান এখন রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ মো. মতিউল ইসলাম বললেন, ‘একজন সংকটাপন্ন রোগীর ইতিবাচক খবর জানাতে পেরে ভালো লাগছে। আজ বিকেল পাঁচটায় তাঁকে আইসিইউ থেকে কেবিনে পাঠানো হয়েছে। আপাতত কয়েক দিন তিনি সেখানে থাকবেন। আশা করছি তিনি শিগগিরই বাড়ি ফিরতে পারবেন।

এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান বলেন, ‘আজ অনেক দিন পর তিনি কেবিনে যাচ্ছেন। আমরা এখন সারাক্ষণ তাঁর কাছাকাছি থাকতে পারব। ভালো লাগছে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন আমার স্বামী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, কাজে ফিরতে পারেন।’

এর আগে সকালে এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আজগর আলী হাসপাতালে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি পরিবারের সদস্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সেদিন খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রাত ১১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শুরুর কয়েক দিন পর তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর আবার স্বাভাবিক নিয়মে শ্বাস নিতে পারলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চার দিন আগে তাঁকে আবার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। তার পর থেকে সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন এই শক্তিমান অভিনেতা।

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, মূলত এ টি এম শামসুজ্জামানের অন্ত্রে প্যাঁচ লেগেছিল। সেখান আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা । এর ফলে খাবার, তরল, পাকস্থলীর অ্যাসিড বা গ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ বেড়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এসব সারাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে নতুন জটিলতা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়, এটাই সুখের কথা।