যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীকে ঘিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির একটি বড় অংশ তাকে খুনি, চাঁদাবাজ, বিবাহিত উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করার পর দিন বৃহস্পতিবার অপর অংশ তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরছে।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে শাহীর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, শিক্ষকদের মারপিটসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে তাকে ছাত্রলীগের জেলা কমিটিতে দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে যশোর পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান রনি। এসময় যশোর পৌর ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে পরদিন বৃহস্পতিবার সেই শাহীকে সৎ ও নম্র দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ একাংশ। প্রেসক্লাব যশোরে শাহীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম। এ সময় তার সাথে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহকায়ক মোমেল হোসেন, এমএম কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর ইসলাম, সহ-সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ অনিন্দ্য হাসান প্রমুখ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ দাবি করে আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনের জন্য দূঃখ প্রকাশ করে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করা হয়। তবে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করা নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন না।