মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন ৫৮ জন মন্ত্রী। তাদের মধ্যে ৫৬ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় মিডিয়া। এই মন্ত্রিসভার ৫১ জনই কোটিপতি এবং ২২ জনের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। ইলেকশন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর) এর বরাত দিয়ে এখবর দিয়েছে এনডিটিভি।
নতুন মন্ত্রিসভার আটজন মন্ত্রীর পড়ালেখার দৌড় দশম থেকে ১২তম স্ট্যান্ডার্ড পর্যন্ত। এছাড়া ৪৭ জন স্নাতক ডিগ্রিধারী ও একজন ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী। ১৭তম লোকসভা ও বর্তমান রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ৫৮ জন মন্ত্রীর ৫৬ জনের শপথের বিশ্লেষণের পর এই তথ্য প্রকাশ করেছে এডিআর।
৫৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২২ জনের (৩৯ শতাংশ) নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এছাড়া ১৬ জনের (২৯ শতাংশ) নামে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। তার মধ্যে রয়েছে- হত্যাচেষ্টা, সাম্প্রদায়িক বিরোধ এবং নির্বাচনী সহিংসতা।
১৬তম লোকসভার মন্ত্রিসভার চেয়ে এবারের মন্ত্রিসভায় ফৌজদারি মামলাধারীদের সংখ্যা আট শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গুরুতর ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১২ শতাংশ বেড়েছে। মন্ত্রিসভার ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ৪৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মোট ৫১ জন সদস্যই কোটিপতি। সবচেয়ে বিত্তবান মন্ত্রী হলেন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। পঞ্জাবের ভাতিন্ডা থেকে নির্বাচিত এই সাংসদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২১৭ কোটি টাকা। হরসিমরতের পরেই আছেন মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ এবং নতুন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৯৫ কোটি টাকা।
৪২ কোটি টাকার মোট সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গুরগাঁওয়ের সাংসদ রাও ইন্দ্রজিৎ সিং। এবার মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
তবে অন্য মন্ত্রীদের তুলনায় এ ব্যাপারে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর থেকে কম সম্পদ রয়েছে ১০ মন্ত্রীর। তালিকায় রয়েছেন রাজস্থানে বিকানেরের সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়াল, মধ্যপ্রদেশের মোরেনার সাংসদ নরেন্দ্র সিং তোমর, উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরের সঞ্জীব কুমার বালিয়ান, অরুণাচল পশ্চিমের সাংসদ কিরেণ রিজিজু, উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের সাংসদ নিরঞ্জন জ্যোতিসহ কয়েকজন।
এই মন্ত্রিসভায় পাঁচজন এমন মন্ত্রী রয়েছেন যাদের সম্পদের পরিমাণ এক কোটি টাকার চেয়ে কম। তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬১ লাখ টাকা। আসামের সাংসদ রামেশ্বর তেলির মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৩ লাখ টাকা। কেরালার ভি মুরলিধরনের মোট সম্পদ ২৭ লাখ টাকা। রাজস্থানের কৈলাস চৌধুরীর মোট সম্পদ ২৪ লাখ টাকা এবং ওড়িশার বালাসোরের সাংসদ প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ লাখ টাকা।