খাশোগিকে ‘দ্য গোল্ডেন পেন অব ফ্রিডম’ সম্মাননা

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে মরণোত্তর ‘দ্য গোল্ডেন পেন অব ফ্রিডম’ সম্মাননা দিয়েছে সংবাদপত্র ও সংবাদ প্রকাশকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজপেপারস অ্যান্ড নিউজ পাবলিশার্স (ডব্লিউএএন-আইএফআরএ)।

শনিবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে খাশোগির পরিবারের পক্ষ থেকে সৌদি সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার শাফা আল আহমেদ এ সম্মাননা ওয়ার্ল্ড এডিটরস ফোরামের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যালাওয়ের কাছ থেকে গ্রহণ করেন।

ডব্লিউএএন-আইএফআরএ জানিয়েছে, সত্য প্রকাশের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ত্যাগ স্বীকার করেো খাশোগি সাংবাদিকের প্রতিশ্রুতি থেকে বিচ্যুত হননি।

ক্যালাওয়ে বলেন, মাতৃভূমির জন্য অপার ভালবাসা থাকলেও দেশ কোন পথে যাচ্ছিল তা অস্বীকার করতে পারেননি খাশোগি। তিনি লিখে যেতেই থাকলেন এবং তার জন্য তাকে জীবন দিতে হলো।

গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি। এরপর তাকে হত্যার তথ্য ফাঁস হয়।

রিয়াদ প্রথমে ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও মাসখানেক পর পরিকল্পনা অনুযায়ী মরণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড হলেও অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যের খবর থাকলেও যুবরাজ বিষয়টি জানেন না বলে অভিযোগ উড়িয়ে দেন।

শাফা বলেন, গত অক্টোবর থেকে আমাদের অনেকেই ধাঁধাঁর মধ্যে রয়েছি। তাকে কি করা হয়েছে, কেন সৌদি আরব তার কথাকে এত বিপদজনক মনে করল যে, তাকে নৃশংসভাবে খুন হতে হলো। তার লাশ উধাও এবং এটা করা হয়েছে শুধু তাকে চুপ রাখার জন্য।

এই চলচ্চিত্রকার বলেন, সৌদি সরকার আশা করেছিল, খাশোগির মৃত্যুতে আমরা বাকি সবাই ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যাব। কিন্তু তা হয়নি, যারা এতোদিন চুপ ছিলেন তারাও এখন আওয়াজ দিচ্ছেন। কারণ তারা বুঝে ফেলেছেন, তাদের কথা অনেক শক্তিশালী, এমনকি এই সরকারের জন্য হুমকি।

১৯৬১ সাল থেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ব্যক্তি বা সংগঠনকে প্রতি বছর ‘গোল্ডেন পেন অব ফ্রিডম’ পুরস্কার দেয় ডব্লিউএএন-আইএফআরএ।