সালাহর কারণে কমে গেছে ইসলামোফোবিয়া!

মিশরীয় ফুটবল তারকা মোহাম্মেদ সালাহ যেদিন থেকে বৃটেনের লিভারপুল ফুটবল ক্লাবে যোগ দিয়েছেন, সেই দিন থেকে এই শহরে অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম ভীতি কমে গেছে। বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিদ্যাপীঠ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার বরাতে এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। গবেষণায় পাওয়া গেছে, লিভারপুল শহরজুড়ে ইসলামোফোবিয়া কমে যাওয়ার পেছনে সরাসরি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে এই শহরের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবটিতে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান খেলোয়াড়ের অভাবনীয় সাফল্য।

২০১৭ সালের জুনে ইতালির রোমা থেকে ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে লিভারপুলে পাড়ি জমান বর্তমান ফুটবল দুনিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সালাহ। সেই থেকে আজ অবদি লিভারপুলে মুসলিম-বিদ্বেষী অপরাধ ১৮.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আর অন্য কোনো ধরণের অপরাধ এতটা হ্রাস পায়নি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্য দলগুলোর তুলনায় লিভারপুল ভক্তদের মধ্যে মুসলিম-বিরোধী টুইটের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে।

ক্রমেই পড়তির দিকে থাকা লিভারপুলের জন্য সালাহ যেন একজন আশির্বাদ। যেই দুই মৌসুম তিনি প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন, দু’ বারই তিনি পেয়েছেন গোল্ডেন বুট। এবার লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়েও ছিল তার অনবদ্য অবদান।

ফাইনালে প্রথম গোলও করেছিলেন তিনি। তিনি গোল উদযাপন করেন সেজদা দিয়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধুসুলভ ব্যক্তি হিসেবে সালাহর ব্যক্তিত্ব অনেক ইসলাম-বিদ্বেষী ব্যক্তিদের মধ্যে মুসলমানদের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা দূর করতে ভূমিকা রেখেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জরিপ পরীক্ষা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, ইসলামোফোবিয়া কমে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি হতে পারে ইসলামের ব্যাপারে অমুসলিমদের আরও পরিচিত হওয়ার বিষয়টি। এই ফলাফল থেকে এই ইঙ্গিত মিলছে যে স্বজাতির বাইরের সেলিব্রেটিদের ব্যাপারে কারও মধ্যে ইতিবাচক ধারণা জন্ম নিলে ওই সেলিব্রেটির জাতি সম্পর্কে নতুন ইতিবাচক ধারণা জন্ম নিতে পারে। সামগ্রিকভাবে আমরা এই অনুসিদ্ধান্ত টানছি যে, লিভারপুল ফুটবল ক্লাবে সালাহর আগমন এই শহরে বিদ্বেষ-সূচক অপরাধ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।’