রাহী-মেহেদির ঝলকে সিরিজে ফিরল ‘এ’ দল

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নিয়ে সাজানো হয়েছিল ‘এ’। মিঠুন, রুবেল, সাব্বির, রাহীরা থাকতেও বড় ব্যবধানে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সঙ্গে জাতীয় দলের আশ-পাশে থাকা আনামুল, ইমরুল, শাফিউলরা তো ছিলেনই। জাতীয় দলের ছায়াদল নিয়ে ২-০ ব্যবধানে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বুধবার আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শ্রীলংকা সফরের জন্য আগের দলেল ছয়-সাতজন চলে গেলেও জিততে অসুবিধা হয়নি ইমরুল কায়েসের দলের।

বিশ্বকাপ দলে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি আবু জায়েদ রাহী। শ্রীলংকা সফরের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। মাশরাফি-সাইফউদ্দিনের ইনজুরিতেও তার কপাল খোলেনি। এমনকি শাফিউল ইসলামকে শ্রীলংকায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাহীর দিকে চোখ পড়েনি নির্বাচকদের। তবে ‘এ’ দলের হয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি নিজের প্রমাণ দেন। তুলে নেন চার উইকেট। এছাড়া স্পিনার মেহেদি হাসান নেন তিন উইকেট। তাদের তোপে ১২২ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান ‘এ’ দল।

জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারায়। এরপর ফজলে মাহমুদ এবং আফিফ হোসেনের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফজলে মাহমুদ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। আফিফ হোসেন ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ওপেনার ইমরুল কায়েস ২৩ রান করেন। অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ২ রান করে আউট হন। তিনে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ১২ রান করেন। বাংলাদেশ ৩০.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌছে যায়।

আফগানিস্তান ‘এ’ দল ২৫ রানে দুই উইকেট হারায়। দলের ৫০ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দলের হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা ওপেনার রহমতুল্লাহ গুরবাজ ডাক মারেন। অন্য ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান করেন ২৫ রান। ওটাই আফগান ‘এ’ দলের পক্ষে কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। পরে ব্যাট করা ডারউইশ রাসুলি ১৬, কারিম জানাত ১৫, ফজল নাইজি ১৪ এবং সারাফুদ্দিন আশরাফ ১৭ রান করে সেট হয়ে আউট হন। বাংলাদেশের হয়ে রাহী-মেহেদি ছাড়া আবু হায়দার এবং নাজমুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।