সালাহকে দেখতে গিয়ে নাক ভাঙল ক্ষুদে ভক্তের

প্রিয় তারকাকে একবার কাছ থেকে দেখতে, একটুখানি ছুঁয়ে অনুভব করতে কতকিছুই করে থাকেন ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু পছন্দের খেলোয়াড়কে দেখার জন্য নাক ভাঙার ঘটনাকে বিরলই বলতে হয়।

এমনই এক ঘটনার জন দিয়েছে ইংল্যান্ডের দুই ভাই ১১ বছর বয়সী লুইস ফ্লাওয়ার এবং ১০ বছর বয়সী আইজ্যাক ফ্লাওয়ার। নিজেদের পছন্দের তারকা লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহকে দেখতে গিয়ে নিজের নাকটাই ভেঙে ফেলেছেন বড় ভাই লুইস।

শনিবার লুইসদের বাসার সামনে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালাহ। তখনই তাকে দূর থেকে দেখেন লুইস ও আইজ্যাক। প্রিয় তারকাকে দেখার জন্য দুজনে দৌড় শুরু করেন গাড়ির পেছন পেছন। কিন্তু সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট। যেটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নাক ভেঙে যায় লুইসের, অঝোরে পড়তে থাকতে রক্ত।

তবে এতে অবশ্য দমে যাননি লুইস ও আইজ্যাক। দেখা করেই ছেড়েছেন সালাহর সঙ্গে। দুর্ঘটনার আঁচ পেয়ে নিজেই থেমে যান সালাহ। পেছনে এসে দেখেন রক্তাক্ত লুইসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে তার ভাই আইজ্যাক। এসময় দুই ভাইয়ের সঙ্গে ছবি তোলেন সালাহ।

ভাঙা নাক নিয়েও হাসিমুখে ছবি তোলেন লুইস। যা বুঝিয়ে দিচ্ছিলো সালাহকে এক নজর দেখার জন্য ঠিক কতটা উদ্গ্রীব ছিলো এ দুই ভাই। লুইস-আইজ্যাকের বাবা জো কুপার নিজেই এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন লুইসকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকছিলাম, তখন দেখলাম সালাহ নিজেই কাছে এসেছেন দেখতে যে লুইস ও আইজ্যাক ঠিক আছে কি-না। প্রিয় তারকার দেখা পেয়ে বাচ্চারা তখন খুশিতে লাফাচ্ছিলো। আইজ্যাক বুঝতেই পারছিল না কী করবে, পরে সে সালাহকে জড়িয়ে ধরে।’

এসময় সালাহ দুই ভাইয়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন জানিয়ে কুপার আরও বলেন, ‘সালাহকে দেখতে মনে হচ্ছিলো যে, তার কারণে লুইসের নাক ভাঙায় সে খুবই দুঃখিত। তবে তার উপস্থিতি সত্যিই ছেলেদের অনেক আনন্দিত করেছে। নাক ভাঙার পরেও লুইস খুব খুশি ছিলো।’