রাতের আঁধারে কাশ্মীরে আরও ধরপাকড় চলছে

বিক্ষোভ দমাতে ভারত শাসিত কাশ্মীরে রাতের আঁধারে চলছে ধরপাকড়। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগরে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে থাকে।

মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানান, গত শনিবার শ্রীনগরের নানা জায়গায় বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উস্কানি রোধে সোমবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ভারত সরকার সেনা মোতায়েন করলেও মাঝে মধ্যেই স্থানীয়রা ভিড় করে বিক্ষোভ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ করছে।

নগরীর সে সব স্থানে গত কয়েকদিনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, ওই সব স্থানে সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয় বলে জানান নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

স্থানীয় সরকার থেকেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নতুন করে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ফলে ভারতের সব অঞ্চলের অধিবাসীরাই এখন সেখানে সম্পত্তি কিনতে পারবে এবং সরকারি চাকরির জন্যও প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে। এতে বহিরাগতদের ঢল বাড়ার আশঙ্কায় আছে কাশ্মীরিরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে শ্রীনগরের সৌরা এলাকা। সেখানে অধিবাসীদের অধিকাংশই নরেন্দ্র মোদিকে ‘জালিম’ বা ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছে।

এলাকাটির এক অধিবাসীর কথায়, আমাদের কোনো কণ্ঠ নেই। আমাদের ভেতরে ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটছে। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আছেন বলে জানান তিনি। তার উক্তি, বিশ্বও যদি আমাদের কথা না শোনে তাহলে আমরা কি করব, বন্দুক হাতে তুলে নেব?

কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকারের ধরপাকড় এবং কড়াকড়ির মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চলে খুবই সীমিত আকারে কয়েক ডজন মানুষের ছোট ছোট বিক্ষোভ হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

বাবা-মায়েরা সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় বাচ্চাদের মঙ্গলবারও স্কুলে পাঠায়নি। রয়টার্সের সাংবাদিকরা শ্রীনগরের তিনটি স্কুলে পরিদর্শন করে কোনো ছাত্রছাত্রীকে দেখতে পাননি।