সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে। যাতে লেখা হয়েছে, ‘কোনো প্রকার মডেলিং চুল কাটা, দাড়ি কাটা ও বখাটে কাটিং করা যাবে না’। মাগুরা সদর থানার নাম উল্লেখ করে দেয়া এ বিজ্ঞপ্তির সমালোচনা করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করে ভবিষ্যতে পুলিশ আরও কী কী ধরনের নির্দেশনা দিতে পারে তার তালিকা দিচ্ছেন ফেসবুকে। একজন লিখেছেন, বখাটে কাটিং কি রকম? কিছু নমুনা যদি দেখাতো!
তবে অনেকে এমন নির্দেশনার সমর্থনও করেছেন। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, একবারও বলছি না চুলে স্টাইল করা যাবে না, রঙ করা যাবে না। অবশ্যই এটা নিজস্ব রুচি। স্টাইলিস ভদ্র কাটিংও আছে। এবার মাত্র একজন এমন রুচিহীন কাটিং স্টাইলিস ছেলে দেখান যে কিনা ভদ্র, নম্র, সভ্য। পারবেন না। কারণ এরাই বখাটে। বিভিন্ন গ্যাংয়ের সদস্য।
বিজ্ঞপ্তির নিচে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তার নাম্বার দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম এমন লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, আমরা চুল কাটার বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছি। এখানকার তরুণ বয়সী ছেলেরা বিশেষ স্টাইলে চুল কাটে এবং সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। চুলের স্টাইল প্রদর্শনের জন্য তারা হেলমেটও পরতে চায় না এবং মোটরসাইকেলের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে চুল ঠিক করার ভঙ্গি করে। সড়কে তাদের এ দায়িত্বহীন আচরণের কারণে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চায় দেশের প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকুক। সড়কে নিরাপদভাবে চলাচল করুন। সে জন্যই চুলের কাট মার্জিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।