চুয়াডাঙ্গার আমিরপুর গ্রামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর গণপিটুনিতে ওই যুবকও প্রাণ হারিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী যুবক আকবর আলী (৩৫) এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ে ছুরি চালালে হাসান আলী নামে একজন মারা যান। এরপর গ্রামবাসীর পিটুনিতে মৃত্যু হয় আকবরের।
শনিবার ভোররাতে আমিরপুর গ্রামে হাসান আলীর বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা।
দামড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আকবর আমিরপুর গ্রামে হাসান আলীর কাছের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “ভোররাতে হাসান আলীর বাড়িতে তার স্কুলপড়ুয়া ভাগ্নিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আকবর। বাড়ির লোকজনের তাকে ধরে ফেললে সে ছুরিকাঘাত করে হাসান আলী ও তার বাবা হামিদুল ইসলামকে।”
ছুরিকাঘাতে হাসান আলীর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীর পিটুনিতে আকবরও মারা যান বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুটি লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহত হামিদুলকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আকবরের নারীঘটিত নানা কেলেঙ্কারির খবর পুলিশ জানতে পেরেছে বলে ওসি জানান।