কাশ্মীরে মোদির বর্বরতা বেশির ভাগ ভারতীয় সমর্থন করে না: আফ্রিদি

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে টুইট করেছেন।

শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল টুইটবার্তায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘কাশ্মীরে সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে সহিংসতা ও নির্মমতা থামাতে জাতিসংঘের কাছে আমরা আরও বেশি প্রত্যাশা করি। বেশির ভাগ ভারতীয় নরেন্দ্র মোদির বর্বরোচিত আচরণ সমর্থন করে না। দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সেতুবন্ধ গড়ার সময় এখনই। এই অমানবিকতা চিরতরে বন্ধ করা উচিত।’

কাশ্মীরের জনসাধারণের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যেতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দেশটির বিরোধী দলগুলোর ১১ নেতাকে জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শনিবার রাহুল গান্ধী শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালেও তাদের সেখান থেকেই দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ ১৯৪৭ সালের পর থেকে সাংবিধানিকভাবে যে বিশেষ মর্যাদা পেত, সেটি বাতিল করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সম্প্রতি ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়।

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের উপর কিছু শর্ত আরোপ করে বিবৃতি দেন।

গভর্নর মালিক বিবৃতিতে বলেন, রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধীদলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। যা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এখানে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।

কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম পরিবারগুলো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন।

কাশ্মীর ইস্যুতে এর আগে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে পাকিস্তান। ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও তারা দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ কয়েকজন ক্রিকেটার এর আগে কাশ্মীরিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন।