মেলানিয়ার সেই চাহনি ‘বিশ্লেষণে’ নেটিজেনরা

জি-৭ সম্মেলনে গ্রুপ ছবি তোলার সময় ছিল তখন। বিশ্ব নেতাদের কয়েকজনের সঙ্গে হাজির ছিলেন তাদের স্ত্রীরাও। ঠিক ওই মুহূর্তে তোলা একটি ছবিতে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অঙ্গভঙ্গি আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে নেটিজেনদের।

বহুল আলোচিত ওই ছবিতে ট্রুডো আর মেলানিয়ার চুমুর দেওয়ার ভঙ্গি, ট্রুডোর দিকে মেলানিয়ার চাহনি, বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতি এবং মেলানিয়ার হাত ধরে থাকা ট্রাম্পের থমথমে মুখ নিয়ে অনেকেই যেন ‘গবেষণা’য় নেমেছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই ছবিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রান্সের বিয়ারিটজে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে গুরুগম্ভীর আলোচনা ছাপিয়ে মেলানিয়া-ট্রুডোর ছবিই এখন যেন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। কেউ কেউ ছবিতে মেলানিয়ার আবেদনময়ী চাহনিকে ভোগের ‘বিজ্ঞাপন’ হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন।

দেহভঙ্গি বিশেষজ্ঞ জুডি জেমস বলছেন, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের কারণে মুহূর্তটা বেশি নাটকীয়তা পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘মেলানিয়া-ট্রুডোর ফ্লাইং কিস বা বাতাসে চুমু দেওয়ার ভঙ্গিটা অনেকটা ভোগের বিজ্ঞাপনের মতো হয়েছে। আর পেছনে ট্রাম্প থাকায় তা আরও আকর্ষণীয়।’

টুইটারে পোস্ট করা ছবিটিকে ‘রোমান্টিক’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার মেলানিয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, স্বামী ট্রাম্পের দিকে তারা কখনই মেলানিয়াকে এভাতে তাকাতে দেখেননি।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘সবার উচিত এমন কাউকে খুঁজে নেওয়া, যে আপনার দিকে এমনভাবে তাকাবে, ঠিক যেভাবে ট্রুডোর দিকে মেলানিয়া তাকিয়েছেন’।

ট্রুডো-মেলানিয়া-ট্রাম্পের ছবি নিয়ে যখন আলোচনায় ব্যস্ত নেটিজেনরা তখন কারও কারও মন্তব্য, মার্কিন ফার্স্ট লেডি যাই করুন না কেন তা নিয়ে ‘বামপন্থিরা’ যে মজা করতে ছাড়ে না সেটা আবারও প্রমাণ হলো।