কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণে: ভারত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ওপর ভারত সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরিভাবে পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে দিল্লি। গতকাল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এমনটা জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তের ওপার থেকে উস্কানি বন্ধ হলেই কাশ্মীর উপত্যকায় আর বিধিনিষেধের প্রয়োজন থাকবে না।

কাশ্মীর নিয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অজিত দোভাল। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে। তবে তা নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণের উপর। উপত্যকাকে অশান্ত করতে তারা প্রতিনিয়ত উস্কানি দিয়ে চলেছে।’

‘যা অনুমান করেছিলাম কাশ্মিরের অবস্থা তার থেকে এখন অনেক ভালো। আমি সেখানে দু’সপ্তাহ ধরে থেকে বুঝেছি উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষই ৩৭০ ধারা রদের পক্ষে।

জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বন্দি করার ব্যাপারে দোভাল বলেন, ‘অঞ্চলকে শান্ত রাখতেই এই পদক্ষেপ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মিরে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চললে তার সুযোগ নিতে পারে জঙ্গিরা। তবে কবে তাদের মুক্ত করা হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য প্রশাসনই।’

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চলটিকে কেন্দ্রশাসিত পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। আর এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক সেনা। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা।

এছাড়া কাশ্মীরের সাবেক মূখ্যমন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।