লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়া বিপজ্জনক: শীর্ষেন্দু

লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়াটা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়া মুশকিল। যখন এটা পেশা হয়ে যাবে, তখন কিন্তু পাঠক কী চায়, সেটা লিখতে হবে। পাঠক এখন কী খেতে চাইছে, সেটা ধরে লিখলে কিন্তু লেখার সঙ্গে আপস করা হবে। আমি লিখবো, পাঠক সেটা নেবে কি নেবে না, তা পাঠকের বিষয়। লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়াটা বিপজ্জনক।

সোমবার সকালে বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সপ্তম তলায় বাতিঘরে এক ঘরোয়া আড্ডায় কথাগুলো বলেন বাংলা সাহিত্যের এ উজ্জল দিকপাল।

বাতিঘরের কর্ণধার দীপংকর দাশের সঞ্চালনায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তার দীর্ঘ লেখালেখি জীবনের নানা অভিজ্ঞাতা শেয়ার করার পাশাপাশি নানা বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি তার লেখা চরিত্রের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,‘আমার লেখার চরিত্রগুলোকে তো আমি সৃষ্টি করি না। আমার তো মনে হয় তারা আমাকে সৃষ্টি করে। তারা আমাকে দিয়ে সৃষ্টি করিয়ে নেয়।’

তিনি বলেন, আমরা যে ভুবনে বাস করছি সেই ভুবনটাকে আমরাই ধ্বংস করছি। আমাদের প্রিয় পৃথিবী আজ বিপদগ্রস্থ। নানাভাবে আক্রান্ত। আমরা যদি পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে না আসি, তাহলে আমাদেরই ধ্বংস অনিবার্য। কথাগুলো বলছিলেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জলবায়ু ইস্যুতে বললেন, এই যে আমাজনে আগুন লাগলো। আমি তো মনে করি, আমাজনে আগুন লাগানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, আমাদের দেশে তো এখন প্রচণ্ড শীত। তাহলে কীভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কথা স্বীকার করবো।’

‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুঝতেই পারছেন না যে ক্লাইমেট আর ওয়েদার এক জিনিস নয়। সেটা বুঝতে না পারলে এমন মন্তব্যই করা হবে। তারা মানছেনই না যে পৃথিবীর বিপদ বা জেনেও না জানার ভান করছেন। এটা আরও বড় বিপদ। মহাশক্তিধর দেশগুলো যদি এই বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে আমাদের জন্য খারাপ হবে। আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাজনকে তার পুরনো মহিমায় ফেরত দিতে হবে। ’

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এ সময় পাঠকের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপচারিতায় অংশ নেন তিনি। সবশেষে পাঠকদের অটোগ্রাফ দেন এ সাহিত্যিক।