অনেক বিস্ময়কর গোল বাঁচানো দেখেছেন। একই ম্যাচে একাধিকবার ভাল গোল বাঁচানোও দেখা গিয়েছে। তবে মিশরে এমন এক ‘ডাবল সেভ’ ক্যামেরাবন্দি হল, যাকে এখনও পর্যন্ত সেরা বলতে শুরু করেছেন অনেক ফ্যান। টানা দু’বার গোলের চেষ্টাকে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্রতিহত করলেন মিশরের গোলকিপার মাহমুদ গাড। ফুটবল ফ্যানেরা একে ‘দ্য গ্রেটেস্ট ডাবল সেভ এভার’ তকমা দিতে শুরু করেছন।
সম্প্রতি মিশর প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ চলছিল ইএনপিপিআই এসসি ও পিরামিডস-এর মধ্যে। তখন ম্যাচের ২৯ মিনিটের খেলা চলছে। পিরামিডস ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে। ইএনপিপিআই এসসি-র গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন মাহমুদ গাড। তখনই একটি গোলের প্রচেষ্টা মাঝ মাঠে উঠে গিয়ে লাফিয়ে হেড করেন মাহমুদ। বল ক্লিয়ার করতে চাইলেও সেটি বিপক্ষের প্লেয়ারের পায়ে পৌঁছে যায়। মাহমুদ তখনই বুঝে যান, বিপদ কাটেনি। হেড দিয়েই ফের উঠে দৌড় দেন নিজের গোলপোস্টের দিকে। তাঁর আশঙ্কাই সত্যি করে বিপক্ষের স্ট্রাইকারের পা থেকে একটি উঁচু বল প্রায় ঢুকে যাচ্ছিল গোলে। সেটিকে পাখির মতো উড়ে গিয়ে হাত দিয়ে ক্লিয়ার করে দেন মাহমুদ।
প্রথমে হেড করে গোল সেভ ও পরে পোস্টের কাছে হাতে দিয়ে গোল বাঁচানোর মধ্যে সময়ের পার্থক্য ছিল ৭ সেকেন্ডের। অর্থাৎ, ৭ সেকেন্ডের মধ্যে দু’বার নিশ্চিত গোল আটকে দিলেন মাহমুদ গাড। ২২ বছর বয়সী মাহমুদের এই ‘ডাবল সেভ’ দেখে অনেকে আবার অন্য গোলকিপারদের শেখার কথাও বলছেন।
এত ভাল সেভ করলেও পিরামিডসের কাছে মাহমুদ গাডের দল ইএনপিপিআই এসসি ৪-০ গোলে হেরে যায়। পিরামিডসের হয়ে ২৯ মিনিটে প্রথম গোলে করেন ওমর গারিব, আবদুল্লা সাইদ ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে দেন। সাইদ ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করেন। ইএনপিপিআই এসসি-র কফিনে চার নম্বর পেরেকটি পুঁতে মোহাম্মদ ফারুক ৭৯ মিনিটের মাথায় চার নম্বর গোলটি করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ভিডিওটি ডাবল সেভের এই ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লক্ষবার দেখা হয়েছে সেটি। সেই সঙ্গে চলছে শেয়ার ও লাইক, কমেন্ট।
