রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু এবারের এই পুরস্কারটি বিতর্ক মুক্ত থাকতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে ভোট জালিয়াতির।
ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন মোহামেদ সালাহও। কিন্তু দেখা গেল নিজ দেশ মিশরের কোচ ও অধিনায়করে ভোটই পাননি লিভারপুলের এ তারকা।
বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি সালাহ। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পর টুইটার প্রোফাইলে মিশরীয় ফুটবলার শব্দটা ফেলে দেন সালাহ। সেখানে এখন শুধু লেখা— লিভারপুল ফুটবলার।
এ ছাড়া টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘তারা যদি মিশরের প্রতি আমার ভালোবাসার পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে, তবে তারা সফল হবে না।’
সালাহর অসন্তোষ দূর করার চেষ্টা অবশ্য করেছে মিশরের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এল-গানাইনি সালাহর সঙ্গে কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে।
এদিকে মিশরের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশটির ভারপ্রাপ্ত কোচ শাউকি ঘারিব ও অধিনায়ক আহমেদ এলমোহাম্মদী দুজনই ভোট দিয়েছেন সালাহকে। কিন্তু এরপরও ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই।
এরপরই ফিফার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে সালাহর এই ভোট না পাওয়ার ব্যাখ্যা দেয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মিশরের কোচ ও অধিনায়ক সালাহকে ভোট দিলেও তা বৈধ ছিল না। কারণ ভোটিং ফর্মে তাদের স্বাক্ষর ছিল ক্যাপিটাল লেটারে, মানে বড় হাতের অক্ষরে। যা কিনা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ। পাশাপাশি ওই ফর্মে মিশর ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষরও ছিল না। আর একারণেই বাতিল হয় তাদের ভোট।
ফিফার সেরা নির্বাচনে বিতর্ক অবশ আরো আছে। সুদানের কোচ জানিয়েছেন তিনি মেসিকে ভোট দেননি। কিন্তু তালিকায় দেখা যাচ্ছে তিনি মেসিকে ভোট দিয়েছেন। প্রায় একই ধরণের অভিযোগ করেছেন নিকারাগুয়া অধিনায়ক জুয়ান বারেরা। তার দাবী, তিনি নাকি ভোটই দেননি। অথচ তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়েছেন তিনি।